ডলার ইয়েন এবং ইউরোর বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে। ইউ এস রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে ক্রেতার আত্মবিশ্বাস রিপোর্ট (কনজিউমার কনফিডেন্স) পূর্বের থেকে ইতিবাচক এসেছে, যা ২০০৮ থেকে সর্বোচ্চ এবং গৃহ মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সকল ইতিবাচক সংবাদে ফেডারেল রিসার্ভ তার বন্ড বিক্রির উদ্যোগ কমিয়ে দিয়েছেন।
উপরোক্ত ছক থেকে দেখা যায় যে, এ মাসের ক্রতার আত্মবিশ্বাস রিপোর্ট এ ৭৬.২ এসেছে। গত মাসের তথ্য ছিল ৬৯। অতএব এ মাসে ৭.২ শতাংশ বেশি ইতিবাচক। গত ৫ মাসে অর্থাৎ ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে মে মাস পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চ মাসে কিছুটা কম হলেও এপ্রিল মাসে তা লাইনে ফিরে এসেছে।
জাপানের মুদ্রা এর প্রধান বিনিয়োগকৃত ১৬ টি জোড়ার বিপরীতেই নেমে গেছে। জাপানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর এই পতন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজু এব বলেন, “যদি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন হয় তবে জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করবেন”
“যখন বিশ্বের অর্থনীতি নড়চড়ে তখন আকস্মিকভাবে ইউ এস অর্থনৈতিক সকল তথ্যই ইতিবাচক এবং ঊর্ধ্বগতি, যা ডলারকে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের নিকট খুবই আকর্ষণীয় করে তুলেছে” বিনিয়োগকারীদের দেওয়া তথ্যে বলেছেন কেথি লিয়েন, বি কে এসেট ম্যানেজমেন্ট এর ফরেন এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউ ইয়র্কের একটি বিনিয়োগ পরামর্শক সংস্থা। তিনি আরও বলেন, “যেহেতু ইউ এস অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ইতিবাচক হচ্ছে তাই ফেড আশা অনুযায়ী সম্পদ ক্রয়ের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে”
ডলার ১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ইয়েনের বিপরীতে ১০২.৪২ তে পৌঁছায়। ইহা ২২ই মে ১০৩.৭৪ এ স্পর্শ করে যা অক্টোবর ২০০৮ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়। গ্রীণবাক (ডলার) ০.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ইউরোর বিপরীতে ১.২৮৫৭ এ পৌঁছায়। জাপানের মুদ্রা ০.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৩১.৭৭ ইউরোর বিপরীতে বিনিয়োগ হয়। ইউ এস এবং ইউ কে গতকাল সরকারী ছুটিতে বন্ধ ছিল।
তথ্য সূত্রঃ বুল্মবার্গ সংবাদ, ফরেক্স ফ্যাক্টরি
তথ্য অধিকার © fxbangla.blogspot.com
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন