অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের পর ডলার আবার দূর্বল হয়েছে।

বাংলা ফরেক্স সংবাদ-

ডলার ইয়েন এবং ইউরোর বিপরীতে আবারও নিচে নেমেছে। ইউ এস অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের পরেও ডলার নিচে নেমেছে। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৩০ এ ক্রাড ওয়েল ইনভেন্টরি এর তথ্য প্রকাশ হয়। এটি ২.৫ মিলিয়ন নিয়ে পূর্বাবাস -১.৪ মিলিয়ন এর চেয়ে ইতিবাচক এসেছে। গতমাসে যা -৬.৩ মিলিয়ন ছিল।

অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের পর ডলার একটু শক্তি অর্জন করলেও তা পরে আবার দূর্বল হয়ে পড়ে। এখন ফেডারেল রিসার্ভের উপর নির্ভর করতে হবে। ফেডারেল রিসার্ভ তাদের মুদ্রানীতিতে কি প্রভাব ফেলে তাই দেখার বিষয়।

ডলার ইন্ডেক্স এর সর্বনিম্ন পর্যায় স্পর্শ করে। গত মে মাসে খুচরা বিক্রয় ০.৪ শতাংশে বৃদ্ধি পায় যা ইউ এস এর অর্থনীতির ইতিবাচক দিক। ইউ এস কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসকল ইতিবাচক দিক বিবেচনা করে বন্ড ক্রয়ের প্রকল্প পিছিয়ে নেয়। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বন্ড ক্রয় বেশী হলে মুদ্রা অতিমূল্যায়িত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ইয়েন তার দীর্ঘ পতনের পর শক্তিশালী হতে শুরু করে। ইয়েনের বর্তমান অর্জন গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এর পরিবর্তনের গতি খুবই দ্রুত তাই ব্যাংক অফ জাপানের পরবর্তী পরিকল্পনা প্রকাশই আমাদের একটি দিক নির্দেশনা দিবে।

“মার্কেট এখন দেখা যাচ্ছে এক দিকে যাচ্ছে, যাই প্রকাশ হোক না কেন। আমি মনে করি আরও গভীরভাবে দেখা দরকার।” বলেছেন ফেবিয়ান ইলিয়াসন, নিউ ইয়র্কের মিজুহো ফিনান্সিয়াল গ্রুপ ইনং (৮৪১১) এর প্রধান ইউ এস মুদ্রা বিক্রয়কারী। “মার্কেটের অতিরিক্ত উঠা-নামা দেখা যাচ্ছে, এটা শুধু ফেডারেল রিসার্ভের অনিশ্চিত কর্মের কারণে।”

ডলার ০.৭ শতাংশ নেমে ৯৫.৪১ ইয়েনের বিপরীতে বিনিয়োগ হয়। গ্রীণবাক (ডলারের অপরনাম) ০.২ শতাংশ নিচে নেমে $১.৩৩৪৫ ইউরো প্রতি বিনিয়োগ হয়। ১৭ দেশের মুদ্রা ইউরো ০.৪ শতাংশ নিচে নেমে ১২৭.৩২ ইয়েনের বিপরীতে বিনিয়োগ হয়।

আরও সংবাদ পড়ুনঃ

১. ইউ এস এর ফ্যাক্টরির নেতিবাচকতথ্যের পর ইয়েন শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

২. ইয়েন এক বছরে সর্বোচ্চ উঠেছে; ইউরো ইসিবি মিটিঙ্গের পর শক্তিশালী হয়েছে।

৩. জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজু অ্যাব তার “তৃতীয় তীর” নিক্ষেপ করেছেন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য।

৪. ব্রিটেনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির, যা খুবই দূর্বল বলা চলে।

তথ্য সূত্রঃ বুল্মবার্গ সংবাদ, ফরেক্স ফ্যাক্টরি