জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজু অ্যাব তার তৃতীয় এবং শেষ
কর্মপন্থা প্রকাশ করেছেন। এটি তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রকাশ করেন।
এই পরিকল্পনা বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক দেশ জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুত্থানের জন্য
গৃহিত।
জাপানের এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে প্রতি বছর ৩ শতাংশ করে
আয় বৃদ্ধি এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরী করার মত
বিশেষ সুযোগ।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজু অ্যাব বুধবার একটি বক্তব্যে
জাপানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পুনরুত্থানের জন্য এই তৃতীয় ধাপটি উন্মোচন করেন। এটি
জাপানের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার শেষ ধাপ।
১৪ই জুন জাপানের ক্যাবিনেট এই পরিকল্পনার অনুমোদন দিবেন। শিনজু অ্যাব এর এই পরিকল্পনায় ইতিমধ্যেই কিছুটা অগ্রগতি
হয়েছে। নিককি ইন্ডেক্স গত কিছু সপ্তাহ ধরে উচ্চমুখী। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আরও
বলেন মহিলাদের আরও কাজের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
“এখনই সময় যে জাপান বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুত্থানের ইঞ্জিনে
পরিণত হওয়ার” শিনজু অ্যাব বলেন। তিনি
আরও বলেন, “জাপানের ব্যবসাকে আরও
দ্রুত গতির করতে হবে। ঝুকিকে ভয় পাবেন না, স্থিরসংকল্প হন এবং আপনাদের কর্মে
আপনাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করুন”
শিনজু অ্যাব তার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে “বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল” গঠন করবেন। এই অঞ্চলে ব্যক্তিগত কোম্পানিগুলো জনসাধারণ
ভিত্তিক সুবিধাগুলো পরিচালনা করতে পারবেন যেমনঃ বিমান বন্দর।
শিনজু অ্যাব তার বক্তব্যে আরও বলেন জাপানের আয় বার্ষিক ৩
শতাংশ হারে বৃদ্ধি করে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে বজায় রাখবেন এবং সরকার দুই বছরের
মধ্যে ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনবে।
“আমি মনে করি জাতীয় গড় আয়কে বৃদ্ধি করাই হচ্ছে সবচেয়ে
গুরুত্ববহ লক্ষ্য”
তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমরা তাই জাতীয় গড় আয়ের দিকেই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি যা
হচ্ছে আগ্রহী লোকদের কর্মসংস্থান তৈরী করা এবং যারা কঠোর পরিশ্রম করে তাদের শ্রম
মূল্য বৃদ্ধি করা।
যাইহোক, বিনিয়োগকারীগণ শিনজু অ্যাব এর বক্তব্যে
দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কারণ এই বক্তব্যে বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে। সরকার
কিভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন এবং প্রকাশিত লক্ষ্য পূরণ হবে কি পন্থায় তার
বিস্তারিত তথ্যে অভাব রয়েছে।
তথ্য সূত্রঃ আর টি ডট কম সংবাদ
তথ্য অধিকার © fxbangla.blogspot.com
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন