Breaking News
Loading...
শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৩

ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্ব

আমরা আপনাদের সাথে যে তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করবো তা আমাদের সকলের পরিচিত। তত্ত্বটি হচ্ছে ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্ব। আমরা এই তত্ত্বটি ব্যবহার করেছি এবং এর সাফল্য চমৎকার। এই লেখা লিখতে আমরা বিভিন্ন বই, ওয়েবসাইট, ব্লগ প্রভৃতির সাহায্য নিয়েছি এবং অনুবাদ করেছি। তাই বিভিন্ন ইংরেজি লেখার সাথে আমাদের লেখার মিল পেতে পারেন। আমরা একের পর এক ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন এবং ব্যবহার করে লাভবান হবেন। ব্যবহারকারীগণ কোন সমস্যায় পড়লে আমাদের জানাবেন, আমরা তার সমাধান করবো।

অভিজ্ঞ ট্রেডারদের প্রতি অনুরোধ রইলো, আপনারা আপনাদের সুপরামর্শ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।

ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্ব

শব্দার্থঃ
ট্রেডার- মহাজন, বণিক, লেনদেনকারী
প্রফিট- লাভ
লস- ক্ষতি

ইলিয়ট তরঙ্গ হচ্ছে অল্প কিছু শিক্ষার মধ্যে একটি যা বলতে সক্ষম যে মার্কেট এখন কোথায় আছে, মার্কেট পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে এবং লেনদেনকারীদের জন্য কি সুযোগ রয়েছে।
যাই হোক, এটা অনেক লেনদেনকারীর কাছে গোপন নয় যে ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্ব বোঝা, ব্যবহার করা বা কারও পূর্বাবাস অনুসরণ করার চেয়ে একটি কঠিন শিক্ষা।

সূচনা

ইলিয়ট তরঙ্গের মূল ভিত্তিসমূহ
ইলিয়ট তরঙ্গের ধাপসমূহ
ইলিয়ট তরঙ্গের নিয়মসমূহ
ইলিয়ট তরঙ্গের ইন্ডিকেটর
ইলিয়ট তরঙ্গের – শুরুর পদক্ষেপ
ইলিয়ট তরঙ্গের- ট্রেডিং পরিকল্পনা
ইলিয়ট তরঙ্গ এবং ফিবোনাক্কি
ইলিয়ট তরঙ্গ- ফিবোনাক্কি একসাথে
ইলিয়ট তরঙ্গ এবং বোলিঞ্জার ব্যান্ড

ইলিয়ট তরঙ্গের পিছনে ধারণা

আমাদের ইলিয়ট তরঙ্গের সাথে পরিচয় করিয়েছেন রালফ নিলসন ইলিয়ট। ১৯৩০ সালে শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে।
তত্ত্বটির মূল একক ভিত্তি হচ্ছে লেনদেনকারীদের আচরণ যা মার্কেট আচরণের পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘটতে দেয় না।
লেনদেনকারীদের আচরণ => মার্কেট আচরণ
ইলিয়টিরা, যাদের মধ্যে আছে অনেক ব্যাংক এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের বড় টেকনিকাল কৌশলী, তারা ইলিয়ট তরঙ্গ তত্ত্ব ব্যবহার করেন লেনদেনকারীদের বিনিয়োগের আচরণ বোঝার জন্য এবং সেই অনুযায়ী পূর্বাবাস দিয়ে মার্কেট আচরণ প্রকাশ করেন।


ইলিয়ট তরঙ্গের উপর পক্ষে- বিপক্ষে মতামত

বিপক্ষে

১. ইলিয়ট তরঙ্গের সম্ভাবনা বিশাল। যদি কিছু ইলিয়টিয়ান কে ইলিয়ট তরঙ্গ একই চার্টে বের করতে দেওয়া হয় তবে তারা বিভিন্ন তরঙ্গ বের করে দেখাবেন।

২. ইলিয়ট তরঙ্গের কঠিন কিছু ধাপ এবং নিয়ম রয়েছে।

৩. ইলিয়ট তরঙ্গের শুধু ৩টি কঠিন নিয়ম রয়েছে যা অভঙ্গুর। বাকি নিয়মগুলোর পরিবর্তন, ব্যতিক্রম এবং অকার্যকর হওয়া সম্ভব, যা একে অসীম সম্ভবনার বিশ্বে পরিণত করেছে।

পক্ষে

১. সবসময় সঠিক তরঙ্গ গণনা করে বের করায় ইলিয়ট তরঙ্গের মূল চাবি নিহিত নয় বরং সেই পথ খুজে বের করা যেই পথে ভুলের সম্ভাবনা কম। যেখানে প্রতিটি মূল্যের ধাপেই রয়েছে ছোট সুযোগ, যা আমাদের প্রকৃত তরঙ্গ যে দিকে দিকনির্দেশনা দেয় সে দিকে কিছু লাভ করার ওয়াদা করে । এটিই ইলিয়ট তরঙ্গের কাজ।

২. ইলিয়ট তরঙ্গের লেনদেনকারীরা সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লাইনের কাছাকাছি প্রবেশ মূল্য খুজে দেখে। তারপর যদি লাইনটি ভেঙ্গে যায় তবে তারা স্বল্প ক্ষতি নিয়ে বের হয়ে যান এবং তরঙ্গের ধাপটি বাতিল করে দেন। যাই হোক, যদি তরঙ্গটি সঠিক হয় তবে এটা ২ অথবা ৫ গুণ বেশী লাভ হয় প্রদত্ত ঝুকির পরিমাণের চেয়ে।



তথ্য অধিকার © fxbangla.blogspot.com
নবীনতর পোস্ট
Previous
This is the last post.

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Toggle Footer